অর্থবিল প্রত্যাখ্যান করে এবি পার্টির প্রেস ব্রিফিং

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বর্তমান সংসদকে জনসমর্থনহীন ডামি সংসদ আখ্যায়িত করে সেই সংসদে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকারী, দুর্নীতি সহায়ক বাজেট (অর্থবিল) পাশের প্রতিবাদে আজ প্রেস ব্রিফিং করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি’।

 

প্রেস ব্রিফিং থেকে অর্থবিল ২০২৪ প্রত্যাখ্যান করে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন; ভোট জালিয়াত ও দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী সরকারের জনগণের ট্যাক্স খরচ করার এবং বাজেট দেয়ার নৈতিক কোন বৈধতা নেই, জনগণ একদিন এই ডামি সরকারের বিচার করবে।

 

বিকেল ৪টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

 

সোলায়মান চৌধুরী বলেন; যাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ভোট চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ তারা যদি আমাদের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ করেন তাহলে যা হবার তা হবে। এ সরকারের ল্যাসপেন্সাররা আমাদের ব্যাংক, শেয়ারবাজার, রিজার্ভ সব একটা একটা করে খেয়ে ফেলেছে। সরকারের মন্ত্রী এমপি, সচিব ও বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্বশীল পদে যারা আছেন তাদেরকে দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিজ নিজ সম্পদের বিবরণী দাখিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন সরকারের কর্মচারীদের এত জমি, ফ্ল্যাট, ব্যাংক একাউন্ট আর নগদ অর্থ তো অতীতে বৃটিশ লুটেরাদের হার মানিয়ে দিয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের সাবেক প্রধান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন; রাজস্ব বোর্ড যদি স্বাধীনভাবে সততার সাথে কাজ করে তাহলে মানুষ ট্যাক্স ফাঁকি না দিয়ে বরং দ্বিগুন ট্যাক্স কালেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। তদ্রুপ ব্যাংকগুলো যদি সরকারী দলের এমপি মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের প্রভাব মুক্ত থাকে তাহলে সাধারণ জনগণের স্মতস্ফূর্ত সহযোগিতায় শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত গড়ে উঠবে। তিনি বলেন আওয়ামীলীগ দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছে। সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত বিষয় গুলো থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে এখন এই সরকার দেশকে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। তিনি প্রতিবছর রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সরকারী কর্মকর্তাদের সম্পদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।

 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; আওয়ামীলীগের আশ্রয়ে থাকা হাজার হাজার বেনজীর-মতিউর চুরি-দুর্নীতির যে নজীর সৃষ্টি করেছে তাতে এই দলের নাম এখন নতুন করে ‘আওয়ামী লুটপাট লীগ’ রাখা উচিত। তিনি বাজেটের সমলোচনা করে বলেন; একদিকে জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে অন্যদিকে ব্যাংক থেকে আমানতকারীরা ঋণ ও এলসি সুবিধা পাচ্ছেনা। ব্যাংকে রাখা আমানত পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। তিনি এই ফাইভ পার্সেন্ট ডামি সরকার ও তার লুটপাটের বিরুদ্ধে গণসংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

 

প্রেস ব্রিফিং সঞ্চালনার প্রারম্ভিক বক্তব্যে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন; আমরা প্রথমেই বলতে চাই, একটি অবৈধ সরকার আসলেই বাজেট পেশ করার এখতিয়ার রাখে কিনা? কারন বাজেট, কর সহ অন্যান্য বিষয় গুলো জন্ম থেকেই জনগণের অধিকারের সাথে সম্পর্কিত। বাজেটের আগেই আমরা বলেছিলাম কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করতে হবে, তা করা হয়নি। কর আদায়ের যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তব ভিত্তিক নয়। আসলে এই সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলের কারণে জনগণ নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নাই। তিনি বলেন, আমরা মনেকরি একটি অবৈধ সরকারের বাজেট প্রণয়নের কোন এখতিয়ার নাই। এই বাজেট আওয়ামী লুটেরাদের বাজেট।

 

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, ফেরদৌসী আক্তার অপি, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।