পাকমন পিপলস পার্টির তত্ত্ব এবং স্বাধীনতা দিবস পালিত

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন:

যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজনে অনুযায়ী অর্থ এবং অর্জিত সম্পদের পূর্ণ ভোগদক্ষলই হচ্ছে সমাজনীতি” ১৯৭৮ সালের ১লা জুলাই উপরোক্ত সমাজনীতির তত্ত্ব রচনা করেন।

 

সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাকমন পিপলস পার্টির তত্ত্ব এবং স্বাধীনতা দিবস পালিত সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

 

 

পাকমন পিপলস পার্টির সভাপতি দার্শনিক মোঃ জাহিদুল হক (জাহেদ) বলেন, তার নির্দেশিত দর্শন তত্ত্ব সমাজনীতি এবং গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে। দার্শনিক মোঃ জাহিদুল হক (জাহেদ) এর প্রণিত সমাজনীতির সংঘাঃ “যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজনে অনুযায়ী অর্থ এবং অর্জিত সম্পদের পূর্ণ ভোগদক্ষলই হচ্ছে সমাজনীতি” ১৯৭৮ সালের ১লা জুলাই উপরোক্ত সমাজনীতির তত্ত্ব রচনা করেন।

 

তিনি আরো বলেন,প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ সেই অর্থ রাষ্টীয় তত্ত্বাবধানে সমাজ ব্যবস্থায় পূর্ণ ভোগদখলের নিশ্চয়তা। মানুষ যোগ্যতা অনুয়ায়ী কাজ পেলে প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে ভোগদখলের সুষ্ঠ আইন শৃঙ্খলা থাকলে জাতীয় রাজনীতিতে কোন দফার রাজনীতির প্রয়োজন হয় না।গনতন্ত্রের কার্যকরী রুপ রেখা হলো (ক) প্রভান্ত গনতন্ত্র জনগণ সরাসরি নীতি বা আইন রচনা করবে কিন্তু রচিত আইন অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিক, ঐতিহাসিক ওসাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী রাষ্ট্রের স্বার্বভৌমত্বে পরিপূন সত্যায়িত হতে হবে। (খ) গন নির্দেশ বা (Referendum): পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত কোন আইন বা আইনের খসড়া সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব জনবৎ বা ভোটারদেও) মতামত গ্রহণ।(গ) সাম্য ও স্বাধীনতা: ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবতার পূর্ণ নিশ্চয়তাসহ সাম্য, ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি।(ঘ) আইনের নিরক্ষেপ ও নৈর্ব্যক্তিক শাসনের প্রবর্তন এবং সমাজনীতি অনুযায়ী নিজ ধন সম্পদ নিয়ে সমাজ অধিকার কায়েম।

 

পাকমন পিপলস পার্টির রাজনৈতিক রণকৌশল জাতীয় হয় দফা।

 

১. ফারাক্কসহ ৫৪টি নদীর উজানের বাঁধ ভারত সরকারকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, ২৪ মে, ‘৯৬ থেকে পরবর্তীতে ভারত কর্তৃক আরো বাঁধ নির্মাণ হলে তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।।

২. গত ২১ বৎসরে উক্ত বাঁধ সমূহের কারণে ক্ষতিপূরণ স্বরুপ ৭৪ হাজার কোটি টাকা ভারত সরকারকে প্রদান করতে হবে। (উল্লেখ্য, ২৪ শেমে ৯৬ থেকে পরবর্তী প্রতি বৎসরের জন্য দশ হাজার কোটি টাকার অংক যোগ হতে থাকবে)

৩ ঢাকাস্থা ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে এবং সকল প্রকার কূটনৈতিক তৎপরতা ছিন্ন করতে হবে।

৪. পদ্মা, কর্ণফুলি, মেঘনা ও যমুনা। ‘পাকমন ইউনিয়ন (টচঝজ) অঞ্চল সমূহ বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম, নেপাল, ভুটান, সিকিম, অরুনাঞ্চল প্রকৃতি থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপসারণ করে UPSK কে পূর্ণ স্বীকৃতি দিতে হবে।

৫ . বঙ্গভূমি আন্দোলন অপকর্ম তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

৬. শাড়ি বাহিনীর অপকর্ম তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সকল প্রকার ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করতে হবে।

 

উক্ত সমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন দলের মহা সচিব খন্দকার আশরাফ সিদ্দিকি, দলের সহ সভা নেত্রী ড. ফাহিমা সুলতানা, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, দলের যুগ্ম সাংগঠানিক সম্পাদক বীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, দলের ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি মোঃ রানা ইসলাম, দলের ঢাকা দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাকির হোসেন, পাকমন ওলামা দলের সভাপতি বিশিষ্ট আলেম খন্দকার মোঃ নূরুল আমীন, পাতমন শ্রমীক দলের সভাপতি মোঃ মোঃ ফেরদৌস খান এবং পাকমন শ্রমীক দলের সহ সভাপতি সাকিব খাঁন প্রমুখ।