জাতির সংবাদ ডটকম।।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের নিকট আমি এস.আর ট্রাক্টরসের প্রোপাইটার সামসুল হুদা বওেয়া পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার একশত ২০ টাকা বুঝে না পেয়ে এই কথা বলেন।
বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের মৌলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে এস আর ট্রাক্টরস এর পেয়ে প্রোপাইটার মোহাম্মদ সামসুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
, মোহাম্মদ সামসুল হুদা বলেন,বাংলাদেশেররাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের নিকট আমি এস.আর ট্রাক্টরসের প্রোপাইটার সামসুল হুদা বওেয়া পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার একশত ২০ টাকা বুঝে না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমি এই পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে লিখিতভাবে জানানো, উকিল নোটিশ পাঠানো এবং পত্রিকায় মানবিক আবেদন প্রকাশ করেছি, এর পরও তার পাওনা পরিশোধ বিষয়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কোন সাড়া দেননি। এ নিয়ে তিনি মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
তিনি বলেন,প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শুরু থেকেই তিনি অন্যতম এজেন্ট ও ডিলার হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং বন্ধের উপক্রম হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দেনা পরিশোধ ও ট্যাক্স সমন্বয় করতে বার্থ হয়ে লে-অফ হওয়ার পথে ছিল। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক এবং বিদেশি মুদ্রার অপচয় ঠেকাতে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। আমি বিআরটিসি এবং সরকারের অন্যান্য দপ্তরকে তখন বোঝাতে সক্ষম হই, বিদেশ থেকে সরাসরি গাড়ি আনলে দেশের মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হয়, সে কারণে প্রগতির মাধ্যমে গাড়ি নিলে একই মানের পাড়ি অনেক কমমূল্যে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সে থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ও সরবরাহ বেড়ে গিয়ে তা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
তিনি আরো বলেন,২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি এস আর ট্রাক্টরস থেকে সে সময় জোরপূর্বক চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। টাস্ক ফোর্স তদন্ত করে সে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তৈমূর আলম বন্দকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা করে। ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সে মামলায় আদালতে আমি রাজ স্বাক্ষী হিসেবে নকল সত্যতা তুলে ধরি। সে মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের সাজা হয়, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ ঘটনার মাধ্যমে সততার নজির স্থাপিত হয়।
তিনি বলেন,১৯৯৮-২০০৬ পর্যন্ত বিআরটিসিতে মিনি বাস, বাস ও ট্রাক মিলিয়ে সর্বমোট ৫৪৭ টি গাড়ী বিক্রয় করে প্রগতি। বিক্রয়কালীন সময়ে উল্লেখিত গাড়িসমূহের কার্যাদেশ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর পক্ষে সংগ্রহ করা, ডেলিভারি/রিসিভ করা এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টির জন্য নির্দিষ্টহারে কমিশন নির্ধারিত হয়। সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলেও তার প্রাপ্ত কমিশন আজও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। সব মিলে প্রগতির কাছে আমার পাওনা রয়েছে তিন কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার একশত ২০ টাকা।
তিনি দুংখের সাথে আরো বলেন,আমার বয়স ৭২ বছর, দেশের সর্বোচ্চ করদাতা, জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গুণগতমানের সেরা গাড়ি তৈরি করে তিনি প্রগতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সেবা করে এসেছেন। মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে, দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বন্ধ হতে যাওয়া প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে সতেজ করেছি, কিন্তু আজ সে প্রতিষ্ঠানই তার বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত করে নিদারুন আর্থিক কষ্টে আছি এখন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।
উক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এস.আর ট্রাক্টরসের প্রোপাইটার সামসুল হুদা, উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত বাবু সহ অন্যান্য কর্মী বৃন্দ।